ইন্টারনেট জগতের ডার্কওয়েব সম্পর্কে ডিটেইলস জানতে চাই ।
ইন্টারনেটের এক অন্ধকার রহস্য ইন্টারনেট একটি বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্ক। বিশ্বকে হাতের মুঠোয় আনতে মানবজাতির অন্যতম সেরা আবিস্কার। কিন্তু এই ইন্টারনেটের কতোটুকু আমাদের দেখা? ডার্ক ওয়েব বা ইন্টারনেটের এই অন্ধকার জগতে কি ঘটে? আপনাদের কাছে মাত্র ১০ শতাংশ ওয়েবসাইট ভিজিবল যেটাকে আমরা সারফেস ওয়েব বলে থাকি আর বাদ বাকি ৯0 শতাংশ ডীপ এবং ডার্ক ওয়েব। গুগলের সাধ্য নাই বাকি ৯০% এ ঢোকা। চলুন জেনে নেওয়া যাক ডার্ক ওয়েব , ডিপ ওয়েব , মারিয়ানাস ওয়েব এবং মিথ বনাম বাস্তবতা সম্পর্কে। ডার্ক ওয়েব ডার্ক ওয়েব ইন্টারনেটের সেই অংশ যা সার্চ ইঞ্জিনের কোন সূচিতে থাকেনা। এটি world-wide-web এর একটি অংশ যেটাতে প্রবেশ করার জন্য বিশেষ ধরনের সফটওয়্যার এর প্রয়োজন হয় এবং একবার প্রবেশ করার পর এগুলো সাধারণ ওয়েবসাইট এর মতই কাজ করে। সাধারণত এই সকল ওয়েবসাইট হিডেন অবস্থায় থাকে। কী থাকে এই ডার্ক ওয়েবে? প্রশ্নটা বরং এমন হওয়া উচিত, কী থাকে না এই ডার্ক ওয়েবে! জাল পাসপোর্ট চান? পেয়ে যাবেন। পেশাদার খুনী চান? পেয়ে যাবেন। পাইরেটেড বই, সিডি লাগবে? কোনো ব্যাপারই না! আর দুর্ধর্ষ সব হ্যাকিং টুল তো খুবই সহজলভ্য! এসব তো ছেলেখেলা। আরো গভীরে ঢোকা যাক। রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক, অস্ত্র বেচাকেনা, এসবও কিন্তু ডার্ক ওয়েবে আছে। তবে সাধারণ সার্চ ইঞ্জিন বা ব্রাউজার এসবের হদিস পাওয়া যায় না। কথিত আছে যে ডার্ক ওয়েবে ঘুরলেই নিজের সব তথ্য হ্যাকারদের কাছে চলে যায়, সব ফাঁস হয়ে যায়। এটা ভুল। তবে হ্যাঁ, গোয়েন্দারা ওৎ পেতে থাকে অপরাধীদের ধরার জন্যে। এই তো কিছুদিন আগেই ডার্ক ওয়েবের কুখ্যাত চোরাই বাজার সিল্ক রুট বন্ধ হয়ে গেলো। তবে আপনার আমার মত চুনোপুঁটির দিকে তাদের নজর দেয়ার সময় নেই। কারণ ডার্ক ওয়েবে আইপি ট্রেস করা আসলেই ঝামেলা। ডিপ ওয়েব ডীপ ওয়েব সাধারণত কোনো কোম্পানি বা কোনো দেশের সরকার নিজেদের মধ্যে তথ্যের আদান প্রদানের জন্য ব্যাবহার করে , সাধারণ সার্চ ইঞ্জিন দিয়ে এই সমস্ত পেজে ঢোকা সম্ভব নয় । এই যে আপনার জিমেইলে রক্ষিত ফাইল, ফেসবুকের প্রাইভেসি পাবলিক না করা , ইনবক্সের কনভার্সেশন, গুগল ড্রাইভের প্রাইভেসি রেস্ট্রিক্টেড করা ফাইল, এসবই ডিপ ওয়েব। এটি অবৈধ কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত নয় । মারিয়ানাস ওয়েব মারিয়ানা'স ওয়েব এতই গভীর যে এখানে ঢোকা সহজ কোন ব্যাপার নয়; খুবই কঠিন একটি প্রক্রিয়া। যেকেউ চাইলে প্রবেশ করতে পারবে না এই ইন্টারনেটের অন্ধকার জগতে।এই মারিয়ানা নামটি এসেছে মানিয়ানা ট্রেঞ্জ থেকে। এই মারিয়ানা ট্রেঞ্জ হল প্রশান্ত মহাসাগর এর সবচেয়ে গভীর তম স্থান।